নৌকো

শক্ত শালের নৌকো, বাতায় গুড়ায় পেশি ফুলে আছে তরুণ ঘোড়ার;
পালগুড়া ধ’রে আছে বায়ুমন্ত্র, গতিপ্রগতিতে কাঁপে সম্মুখ গলুই-
দীর্ঘ জলে ভেসে যায় শিল্পময় তীক্ষ্ণ তীব্র ক্ষিপ্র রুইমাছ।
জল, ঢল চারপাশে, ঢেউয়ের মতোন নৌকো নৌকোর মতো ঢেউ চ’লে
গলিত অম্বরতলে, জলস্তম্ভ দিগ্বলয় ক্রমে ক্রমে আসছে দখলে।
মাল্লার আত্মার মতো তরুণ শালের নৌকো এই জল ভেদ ক’রে
নিবিষ্ট শরের মতো ছুটে যায় অন্য জল মুখে।

তোমার বান্ধব ঝড়, সমুদ্ৰাধিরাজ, বায়ুবাত্যাঘূর্ণি দৈনিক গৌরব;
নীল, গাঙচিল, ফেনার মাল্য নিত্য প্রসাধন। স্বেচ্ছানির্বাসিত
নৌকো, ঘোলা জল আর মরা তট থেকে, স্ফীত পাল শক্ত পালগুড়া
বাতায় নির্ভর ক’রে নির্বাসিত গায়কগায়িকাসহ জলকে স্বদেশ ক’রে
ভাসছে ভূধরে। ঢেউয়ের মতোন নৌকো ঢেউয়ের ভিতরে চ’লে ছুটে।

নৌকো ভাসে সমুদ্রের মাঝখানে, একা, দূর তটে মাটি ঝরে টুটে।