পার্টিতে

অজস্র গাড়ল চারদিকে, মাঝেমাঝে মানুষের
মুখ চোখে প’ড়ে একটি দুটি। বাতাসে কর্কশ ক্রোধ,
ফেটে পড়তে চায় জলবায়ু। স্কচের আভাস পেয়ে
অসুস্থ শরীরে এসেছেন শ্রীমধুসূদন, তাঁকে
কেউ চিনতে পারছে না। এক কোণে দাঁড়িয়ে আছেন
নিঃসঙ্গ বঙ্কিম, একঝোপ দাড়ি সত্ত্বেও মহান
রবীন্দ্রনাথকে একটি বালিকাও চিনতে পারছে না।
শক্ত দাঁড়িয়ে আছেন সুধীন্দ্রনাথ, খুব কাঁপছেন
বুদ্ধদেব, নজরুল, একটি গাধাও তাঁদের চিনতে
পারছে না। রঙিন একটা গর্দভকে নিয়ে ব্যস্ত পাঁচটি
মাংসবতী গাভী, একটা ভাঁড়ের গায়ে ঝুলে আছে
গোটা দুই আধাপণ্যনারী, দশটি বালিকা আর
দুটি খোজা চুমো খায় নপুংসক নিমাইয়ের গালে।
পা ঘষছেন রবীন্দ্রনাথ, তবু কেনো এই
অট্টালিকা খড়ের গাদার মতো দাউদাউ জ্ব’লে উঠছে না!