স্বপ্ন

যখন আমি দাঁড়িয়ে থাকি অথবা পাখির ছবি আঁকি
কিম্বা বই পড়ি,
যখন বনে বেড়াতে যাই গোশলখানায় কবিতা গাই
অথবা কাজ করি,
যখন আকাশ মেঘে ভরে আমার মন কেমন করে
একলা ব’সে লেখি,
চারদিকে সোনার মতো ছড়িয়ে থাকা ইতস্তত
কেবল স্বপ্ন দেখি।
ওই যে মানুষ নৌকোগুলো পথের ওপর রঙিন ধুলো
ফুলের শোভা গাছে,
বিশাল একটা চাঁদের তলে ধানের পাতায় শিশির জ্বলে
নর্তকীরা নাচে!
যেনো তাদের ডাকছে কেউ তাই তো আসে শ্যামল ঢেউ
দুলে পুকুর পাড়ে,
আমার স্বপ্ন গোলাপ ডালে সকাল দুপুর সন্ধ্যাকালে
দীর্ঘ গ্রীবা নাড়ে!
আমার স্বপ্ন বাসে ওঠে ট্রাকের চাকার সঙ্গে ছোটে
বিমান হ’য়ে ওড়ে,
আমার স্বপ্ন ফেরিঅলা উচ্চস্বরে ফুলিয়ে গলা
শহর ভ’রে ঘোরে।
আমার স্বপ্নে হাজার গন্ধ একশো একুশ রকম ছন্দ
পাঁচশো পঁচিশ রং,
আমার স্বপ্ন গ্রামের মাঝে রাত দুপুরে হঠাৎ বাজে
ডিং ডং ডিং ডং।
অন্য সবাই ঘুমিয়ে প’ড়ে স্বপ্ন দেখে ঘুমের ঘোরে
মাথা রেখে মেঘে,
শুধুই আমি একলা আমি সকাল সন্ধ্যা দিবসযামি
স্বপ্ন দেখি জেগে।
আমি শুধুই ভয়ে মরি যদি আমি ঘুমিয়ে পড়ি
স্বপ্নদের কী হবে,
যদি কোনো দস্যু এসে ভাঙে আমার স্বপ্নকে সে
বাঁচবো কেমনে তবে?
এই পৃথিবী এতো মধুর তার গলাতে এতো যে সুর
শুনি এ-বুক ভরি, তাই তো আমি রাত্রি ও দিন জেগে থেকে নিদ্রাবিহীন
স্বপ্ন রক্ষা করি।