স্ত্রীরা

বড়ো বেশি ক্লান্ত, সিঁড়ি ভেঙে ওঠে থেমে থেমে;
কয়েক ধাপের পর জিরোয় রেলিং ধ’রে, কাঁপে পদতল;
আঠারো তলার মতো বিবশতা দেহে আসে নেমে,
পশ্চাৎ বক্ষ বাহু তলপেট মাংসের আক্রমণে বিপণ্ন বিহ্বল;
বুঝতে পারে না তারা কোথা থেকে এলো এই স্তব্ধ ঘোলা ঢল।

কী যেনো হারিয়ে গেছে, কী যেনো অজ্ঞাতসারে হয়ে গেছে চুরি;
খোঁচা দেয় ভারি ত্বকে, কোথাও জাগে না তবু স্বল্পতম সাড়া,
হাহাকার ক’রে ওঠে- ‘আমরাও একদিন ছিলাম কিশোরী’;
দিকে দিকে প্রতিদ্বন্দ্বী নিজেদেরই জরায়ুর কোমল কন্যারা,
পায়রার মতো উড়ে সারা বন মুখরিত ক’রে আছে যারা।

কী দিয়েছে সহস্র সঙ্গম? কী দিয়েছে ফ্রিজ, গাড়ি, সুসজ্জিত গৃহ?
স্বামীরা সম্ভ্রান্ত; আর প্রত্যহ বাড়ছে তাদের যৌন-আবেদন;
তারাই পচলো শুধু? আবর্জনা হয়ে উঠলো তাদেরই দেহ?
স্বামীদের জন্যে আছে একাধিক উপপত্নী, সভা, উল্লসিত বিদেশভ্রমণ;
বাতিল শুধুই তারা? ময়লায় পরিণত শুধু তাদেরই জঘন?
ক্লান্তিকর ভারি সব কিছু, তবু ক্লান্ত হ’লে চলবে না তাদের;
কী ক’রে বইবে ভার? কী ক’রে দমন করবে রক্তের প্রদাহ?
প্রেম আর কাম কবে ম’রে গেছে- (তারা আজো পায় নাই টের);
তবুও সযত্নে টিকিয়ে রাখতে হবে নিরন্তর একটি উৎসাহ-
আঁকড়ে থাকতে হবে- সবই পণ্ড যদি পণ্ড হয় পবিত্র বিবাহ।