তোমার পায়ের নিচে

আমার থাকতো যদি একটি সোনার খনি
তাহলে দিনরাত খুঁড়েখুঁড়ে আমি মুঠো ভ’রে ভ’রে তুলে আনতাম
সূর্য আর চাঁদ-জ্বলা সোনার কণিকা,
সোনায় দিতাম মুড়ে শহরের সমস্ত সড়ক-
অন্যমনস্ক তুমি হেঁটে যেতে তীক্ষ্ণ স্যান্ডলের শব্দ তুলে তুলে।

আমার থাকতো যদি মুক্তোয় ভরা একটা উপসাগর
তাহলে দিনরাত আমি ডুবুরির মতো মুঠো ভ’রে ভ’রে তুলে আনতাম
সবুজ আর লাল আর নীল আর উজ্জ্বল আর ঝলমলে মুক্তো,
মুক্তো ছড়িয়ে দিতাম শহরের সমস্ত সড়কে-
অন্যমনস্ক তুমি হেঁটে যেতে তীক্ষ্ণ স্যান্ডলের শব্দ তুলে তুলে।

একটি পদ্মদিঘি থাকলেও আমি মধ্যরাতে
মুখে ক’রে তোমার দরোজায় নিয়ে আসতাম শুভ্র পদ্মের কেশর।

পৃথিবীর শেষ প্রান্তে আমার থাকতো যদি
একটা লাল টকটকে গোলাপ বাগান, যাতে ফোটে শতবর্ষে একটি গোলাপ
তাহলে চোখের মণিতে গেঁথে নিয়ে আসতাম গোলাপ পাপড়ি,
বিছিয়ে দিতাম তোমার সড়কে-
অন্যমনস্ক তুমি হেঁটে যেতে তীক্ষ্ণ স্যান্ডলের শব্দ তুলে তুলে।

আমার কিছুই নেই-
আছে শুধু করুণ কম্প্র টলোমলো একরাশ বিষণ্ণ স্বপ্ন-
সেই স্বপ্নগুলো আমি বিছিয়ে দিয়েছি শহরের সমস্ত সড়কে-
তুমি আস্তে হাঁটো- তোমার পায়ের নিচে
ডুকরে ওঠে দীর্ঘশ্বাসের চেয়েও কোমল কাতর আমার বিষণ্ণ স্বপ্ন।