তুমি সোনা আর গাধা করো

একবার দৌড়োতে দৌড়োতে ঢুকে গিয়েছিলাম তোমার ছায়ায়,
তাতেই তো আমি কেমন বদলে গেছি।

কিন্তু অই লোকটি, যে তোমার ছায়ায় বাস ক’রে রাতদিন,
তোমার সঙ্গে এক রিকশায় যায়,
একই খাটে ঘুম যায়,- সে কেনো এমন হচ্ছে দিন দিন!

তোমার ছায়ায় ঢুকে গিয়েছিলাম,
আমাকে ছুঁয়ে ফেলেছিলো, তোমার অন্যমনস্ক আঙুল-
তাতেই তো আমার বুকের বাম ভূখণ্ড জুড়ে জন্ম নিয়েছে জোহান্সবার্গের
সোনার খনির থেকেও গভীর ব্যাপক এক জোহান্সবার্গ!

কিন্তু অই লোকটি, যে তোমাকে বৃষ্টি না নামলেও আধঘণ্টা আদর করে,
সে কেনো এমন হচ্ছে দিন দিন? গালে তার চালকুমড়োর মতো মাংস
জমছে, দেখা দিচ্ছে চটের বেল্টের মতো গলকম্বল;
পেট বেরিয়ে পড়ছে ট্রাউজার ঠেলেঠুলে; এবং দিন দিন
আহাম্মক আহাম্মক হ’য়ে উঠছে!

আমি তো একবার শুধু স্বপ্নে তোমাকে জড়িয়ে ধরেছিলাম,
তাতেই তো আমার ৭০০০, ০০০, ০০০, ০০০, ০০০, ০০০, ০০০ বাহু ওষ্ঠ
ঝকেঝকে সোনা হ’য়ে গেছে!

কিন্তু অই লোকটি, যে তোমাকে নিয়ে শোয় প্রতিরাত
কিন্তু অই লোকটি, যে তোমাকে কাছে পায় প্রতিদিন
কিন্তু অই লোকটি, যে তোমাকে জমজমাট গর্ভবতী ক’রে বছর বছর
সে কেনো একটা আস্ত গাধা হ’য়ে যাচ্ছে দিন দিন!

তুমি যাকে দেহ দাও, তাকে করো
তুমি যাকে স্বপ্ন দাও, তাকে সোনা করো!