আসল কথা

অমন করে’ চেয়োনা আর-
দেখ্ছ না, ঐ দূরে আকাশ প’রে,
তারারা চোখ মিটমিটিয়ে
চাওয়া- চাওয়ি করছে পরস্পরে;
আবার শোন, সন্ধ্যা- হাওয়ায়
সেই কথারি হচ্ছে কানাকানি-
এরি মধ্যে চারিধারে
কেমন করে’ পড়্ল জানাজানি!

আবার কেন, শুনেইছি ত-
মিথ্যা ব্যথা বাড়িয়ে কিবা ফল!
পারব না যা- মিছা কেন?
ছাড়্বেনা কি দেখে’ চোখের জল?
সর’ সর’- পথ ছেড়ে দাও,
হচ্ছে দেরী- কাজ যে আছে বাকী-
ঐ শোন, কে ডাকছে আবার-
এরি মধ্যে সন্ধ্যা হ’ল নাকি!

সন্ধ্যা নয় ত- মেঘ করেছে;
এক্ষণি ঝড় আস্বে আকাশ ছেয়ে,
জানছি পথে কষ্ট পাবে,
বৃষ্টিজলে উঠ্বে ভিজে নেয়ে!
কখন থেকে বলছি যেতে,-
আমার কথা- শুন্বে না ত কানে,
রোগ শরীর- পথের মাঝে
ঠাণ্ডা লেগে কি হবে কে জানে!

একটু না হয়, বসে’ই দেখ;
যে ঝড় এল- যাবেই বা কি করে’,
আমিও কাজ সেরেই আসি-
আবার কেন রইলে দুয়োর ধরে’!
বাদ্লা বাতাস লাগ্ছে গায়ে-
সে দিকে হুঁস হবে সে আর কবে?
তাইত বলি- এমনতর
ক্ষ্যাপা মানুষ! কি দশা যে হবে!

-না না, আমি শুনব না আর
কোন কথা এমন করে’ একা;
হাওয়ার হাঁকে ঘুরছে মাথা,
বৃষ্টিধারায় চক্ষে না যায় দেখা;
বাদল বায়ে কাঁপছে দেহ-
কে ঐ শোন, কাঁদছে নীচের তলায়,
ওমা, চোখে জল এল যে!
কোনখানে দোষ হ’ল বা কি বলায়!

একি- তুমি সত্যি গেলে!
যা ভেবেছি তাই কি হ’ল শেষে?
কেমন ক’রে যাবে তুমি-
বৃষ্টিধারায় পথ যে গেছে ভেসে!
অবুঝ হয়ে এমন শাস্তি
দিলে আমায়- এম্নি অভিশাপ-
হয় আমি ভুল করেছি,
তুমি না-হয় করতে আমায় মাপ!

ভাব্তে আমি পারি না যে-
না-হয় যেতে একটুখানি বাদে-
নিজের দেহে দণ্ড নিলে
এম্নি করে’ পরের অপরাধে!
পথের মাঝে জলে ভিজে’
রোগা শরীর- যদিই কিছু হয়-
না না- তুমি ফিরে’ এস,
ও গো, আমার সত্যি কিছুই নয়।