এ-বার তৃতীয় বার চ’লে যাব

এ-বার তৃতীয় বার চ’লে যাব বিদেশ-ভ্রমণে
এ-বার তৃতীয় বার হবে
স্ট্র্যান্ডের পথে ফিরে (কোনও এক) হাতুড়ে কামিন
এ-রকম ভাবে অনুভবে
বিদেশ-ভ্রমণে ক্রমে অগ্রসর হয়
চোখে তার সাধু সৎ সাধারণ নিপীড়িত মানুষের সরল বিনয়
মৌসুমি মেঘের দিকে মুখ রেখে জাহাজের চোঙা
লবেজান অনেক জাহাজ
যদিও জীবিত, যুক্ত, পরিদৃশ্যমান
পৃথিবীর মতো জাঁহাবাজ
হাভাতে বিড়াল এক- ধূসর রঙের এক শিকে
চির-দিন খেলা ক’রে জন্ম দিয়েছিল তবু শ্রমজীবীটিকে।

তাই সে-বিড়ালটাকে অবশেষে লেজে ধ’রে নিয়ে
লটকায়ে শিকের মতন
দেখেছে নিচের শিকে, থাবার উপরে ওৎ পেতে
বিড়ালের মতো মোতায়েন।
তবু এক দূর- আরও দূর- দেশে আমদানি-রপ্তানি চলে
গাধার গড়ানে পিঠে বিড়াল ও শিকের বদলে।

সেইখানে সারেঙের মাসি আর খালাসির কানা মামা খোঁড়া লশকর
তিন জনে ঝানু কামিনের সাথে মিলে
সকলেই যে যাহার জামিনে খালাস থেকে-থেকে
সমুদ্রের পারে ব’সে একটি পাতিলে
মাছের সালুন খায় কোণ ঠেসে- কড়া পাকে জ্বাল;
কেঁপে ওঠে বমারের কলরবে সারা-দিন সমুদ্রের পারে বংশাল।