এ-স্থান কি ছেড়ে দেব

এ-স্থান কি ছেড়ে দেব সূর্যের হাতে আমি
কিংবা কোনও অন্ধকার নিরয়ের পেঁচা
এখানে আসিবে উড়ে এক-দিন চারি-দিকে জ্যামিতিক ছাদের ফাটলে-
নক্ষত্রের পানে চেয়ে গেয়ে যাবে- যেই গান-
শৃগালেরা সমুত্তীর্ণ ক’রে দেয় অন্দরমহলে
আজ ঢের অশ্ব এনে অইখানে জমায়েছে অমাত্যের ভিড়
উঠেছে মিনার পৌর আকাশের মেঘে
দুর্দান্ত কালাতিপাত ছুটিতেছে
যেমন সে বরাবর ছুটে গেছে জান্তব আবেগে

তবুও এখনও অগ্নি আরণির মুখ থেকে তুলে নেই
এখনও বাতাস দেখি: ধর্মের কলে
কী ক’রে নড়িতে আছে- যাত্রা শুভ- যাত্রা ঢের দূর- আরও দূর-
এমন পালিশ ব’লে হয়তো চলেছে রসাতলে
আয়ুর সমাপ্তি নাই রাত্রির তুলোর বালিশে
ফুটেও ফোটে না ডিম- ম’রেও হয় না বাজিমাত
ছুটিতেছে লবেজান কালো ঘোড়া মনপবনের
অন্ধকারে দেখাতেছে বরফের মতো সাদা দাঁত

আখখুটে শিশুদের দিনগুলো শুরু হল
শেষ হল বিকলাঙ্গ কৃষ্ণবর্ণ জননীর স্তনে
এমন আবর্তে এই পৃথিবীর কত যুগ কেটে গেছে
পাহাড়ের- নক্ষত্রেরও- নেই ক’ স্মরণে
আরণির তেজ ক্রমে উপসংহারের ধ্বনি শোনে
পৃথিবীও বুঝেছে সে ক্রীড়া নয়- শুধু ক্রীড়নক
লক্ষ বছর আগে যে-জাতক কাজ ক’রে গিয়েছিল
সূর্যের কিরণে তাহা চির-দিন বীজাণুর মতো সংক্রামক।