আবার উঠেছে জেগে

আবার উঠেছে জেগে এইখানে-
এই ক্ষুদ্র নগরের রোদ
যেন ঢের অশরীরী পাখির কূজন আবার বায়ুতে এসে
এক-দুই হাজার বছর পরে আজও
আমাদের অমায়িক মুখাবয়বকে কাছে পেয়ে
ধূসর গল্পের ঘ্রাণে- বিখ্যাত নদীর পারে যেন কোনও
কিংবা কোনও শালিক-ধূসর শান্ত সমুদ্রের তীরে
আমরা সকলে যেন এক-দুই হাজার বছর
এইখানে জেগে গেছি নিঃশব্দ রাত্রির পরে
কাজ ক’রে গেছি- খেলে গেছি
মৃত্যুর ভিতর থেকে উঠে এসে
আবার গিয়েছি ম’রে
যখন প্রভাতে কোনও বিছানা, বালিশ, ঘাস, ঘুমাবার মানুষ ছিল না
ক্ষমার জননী এসে ইশারায় আমাদের শান্ত ক’রে দিয়ে গেছে
বলেছে ঘুমাতে
কাঁটার ভিতরে ঘুম- দুপুরের শীর্ষে- রৌদ্রে
ক্যাকটাস-ফুলের মতন
এই সব বালুকার পরে
প্রাচীন পায়ে দাগ আমাদের
আকাঙ্ক্ষার ঘ্রাণ
সুদীর্ঘ দড়ির ‘পরে লাল, নীল, সাগর-সবুজ, সাদা কাপড়ের রাশি
ঝিকমিক ক’রে ওঠে বৃহৎ মেঘের নিচে- প্রভাতের শিশুদের মতো
বিবর্ণ গাধার ভিড় স্থির হয়ে রয়েছে দাঁড়ায়ে
সকালের অবকাশে পথের ঘাসের পাশে ইচ্ছা টেনে এনে
গানের উপরে রৌদ্র রেখে
চারি-দিকে মানুষের রোলে ক্ষীণ জড়িত আমোদ
মাছিদের কাকলির মতো মনে হয়
অথবা মুর্গির কণ্ঠে বেজে উঠে সুদূর জ্বলন্ত সূর্য অভ্যর্থিত হয়।