আধুনিকতায় আর নেই জেনে- তবুৎ সম্বিৎ
না হারায়ে জীবনের তুচ্ছ যে কাজ কথা দাবি
কেমন ক্ষমার্হভাবে নিরুজ্জ্বল না হ’য়ে নির্জনে-
সজনে বারংবার শেষ ক’রে গেছে।
কোথাও গ্ৰন্থলোক দেখিনি কি- সে সবের মাঝে
মানুষকে- যেন এই পৃথিবীর নীলিমা বাতাস
নগর, রাজনীতি, মৃত্যু, মন্বন্তর সব
পিছনের পটভূমিকায় যদি নিজেদের সংক্রান্তির ছবি
এঁকে স্তব্ধ হ’য়ে থাকে- তাহলে তা যাক
যতক্ষণ টেবিলে বা টেবিলের উত্তরায়ণের পথে রই
বিষণ্ণ সূর্যের মতো র’য়ে গেছে- কে তাকে নেভাবে?
দেখিনি কি আজকের হৃত মৃত ঈশ্বরের মতো
দীর্ঘাঙ্গিনী নটীদের প্রেমিকের মতো সব বিমর্ষ কবিকে
(কাগজ কলমে তারা লেখেনি কখনও
হয়তো-বা সহোদর নয় কোনও প্রিন্টিং প্রেসের কবিদের)
জীবনে তবুও কোনও নারী হাত বাড়াবার আগে
নক্ষত্রের কাছে- সৌধ সূর্যের নিকট চুরি হয়েছিল ব’লে
তাদের জীবনে কোনও নারী নেই সে রকম- আমি
দেখিনি তো- তবু ছিল- শাদা লোকসাধারণ স্বাভাবিকতায়
হৃদয়ের প্রান্তরের পথে।