আগুন-বাতাস-জলের গান

আগুন-বাতাস-জলের গান শুনতে-শুনতে
অন্ধকার ও অনাদি নক্ষত্রের রূপ দেখতে-দেখতে
আরও এক রূপ দেখতে চাইলাম কেন আমি?

জন্মালাম মানুষ হয়ে
পাহাড়ের উপর দেখলাম দুঃখের রাশির মতো শ্রাবণ-মেঘ
চার-দিকে দেখলাম মাটির তরঙ্গ
দেখলাম অগণ্য বাদুড়ের মতো ডানা মেলে ধোঁয়াটে নদী
আষাঢ়-রাতের ভিতর ছড়িয়ে পড়ছে

ঠান্ডা আষাঢ়-রাত
মৎস্যনারীদের চঞ্চল কালো চাদরের মতো সমুদ্র
অন্ধকার আকাশ- অজন্মা প্রান্তর
সমস্ত নীল মৌমাছি-রূপ শূন্যে দেখলাম আমি
তবুও তোমার মুখের রূপ দেখতে চাইলাম তার পর

হে আগুন, বাতাস, জল,- সমুদ্র, আকাশ
আমাকে মুক্তি দাও
হে অন্ধকার পাতাল, আমাকে তুলে নাও, আমাকে ঘুমাতে দাও
তোমরা মানুষ ও মানুষী সৃষ্টি কোরো পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্ত

কিন্তু তাকে করো ধূসর শঙ্খ
আমাকে করো ঘন ঘুমের মতো রেখা সেই শঙ্খের শরীরে
কোনও এক শঙ্খহীন সমুদ্রহীন অনন্ত অন্ধকারের দেশে।