এই ডাঙা ছেড়ে হায়

এই ডাঙা ছেড়ে হায় রূপ কে খুঁজিতে যায় পৃথিবীর পথে।
বটের শুকনো পাতা যেন এক যুগান্তের গল্প ডেকে আনে:
ছড়ায়ে রয়েছে তারা প্রান্তরের পথে-পথে নির্জন আঘ্রানে-
তাদের উপেক্ষা ক’রে কে যাবে বিদেশে বল- আমি কোনও মতে
বাসমতী ধানখেত ছেড়ে দিয়ে মালাবারে- উটির পর্বতে
যাব না ক’- দেখিব না পামগাছ মাথা নাড়ে সমুদ্রের গানে
কোন্ দেশে- কোথায় এলাচিফুল দারুচিনি বারুণীর প্রাণে
বিনুনি খসায়ে ব’সে থাকিবার স্বপ্ন আনে;- পৃথিবীর পথে

যাব না ক’: অশ্বত্থের ঝরাপাতা ম্লান সাদা ধুলোর ভিতর,
যখন এ দু’-পহরে কেউ নাই কোনও দিকে- পাখিটিও নাই,
অবিরল ঘাস শুধু ছড়ায়ে রয়েছে মাটি-কাঁকরের ‘পর,
খড়কুটো উল্টায়ে ফিরিতেছে দু’-একটা বিষণ্ণ চড়াই,
অশ্বত্থের পাতাগুলো প’ড়ে আছে ম্লান সাদা ধুলোর ভিতর;
এই পথ ছেড়ে দিয়ে এ-জীবন কোনওখানে গেল না ক’ তাই।