এই জ্যোৎস্নারাতে চাঁদ

আমি সেই শিশুটিরে বলিলাম-
‘এই জ্যোৎস্নারাতে চাঁদ আর কিছু নয়- নাবিকের মতো
ঢের এরোপ্লেনে চ’ড়ে একাই সে ফিরিতেছে
কোনও মেঠো মণ্ডপের বৈষ্ণবের মোচ্ছবের তরে নয়
নামকীর্তনের দিন হয়ে গেছে অবশেষ বহু দিন আগে তার
ভাবিতেছে মঠ- গির্জা- হাট- ঘাঁটি- বস্তি- মিনার
চারি-দিকে শিশু আর বালিকার
পুতুলখেলার মাঝে এই সব কী অদ্ভুত
চায়ের টেবিলে বাবা, দাদা, দিদি, মা’-রা ব’সে চামচ নাড়িছে ধীরে-ধীরে
মুহূর্তেই হয়ে গেল হাড়গোড়- ভূত- ছবির বইয়ের মতো যেন
তবু তারা লোকবিশ্রুতির মতো শুনেছিল
ষাটটা বছর ধ’রে ঘরদোর- পিতামাতা- বেঁচেছিল উঁচু-উঁচু গাছের মতন যেন
আজ তবু হঠাৎ বিকেলবেলা- চায়ের টেবিলে সব রাক্ষস-খোক্কস হয়ে গেল কেন-‘

কে যেন গম্ভীর স্বরে ব’লে গেল: এ-সব হেঁয়ালি আর কেন এর কাছে
তবুও আমার দেহ ক্যাঙারুর মতো যেন
বহু দিন থেকে মন- অসম্ভ্রান্ত- নিউরোটিকের মতো হয়ে আছে।