এই মধ্যাহ্নে

এই মধ্যাহ্নে
একটা উঁচু বক
ঐ লকলকে নীল শরের বনে হাঁটছে
পুকুরের শ্যাওলার পাশে
জোঁক তাকে শুষে খায় না?
হলদে চিতল ঢোঁড়া তার আতার শাঁসের মতো সাদা বুকে দাঁত বসায় না?
রাঙা ঠ্যাং দু’টো তার
সবুজ শরের ভিতর ঢাকা পড়ে গেছে
সুন্দর ফিনফিনে লাল দু’টো ঠ্যাং
লাক্ষা দিয়ে তৈরি
কচি মেয়ের হাতের রুলির মতন টকটকে
পাখনায় খয়েরি পালক তার কয়েকটা
খাঁজকাটা অসংখ্য সাদা পালক নিচে
সমস্ত শরীর তার পাথরে আছাড় খেয়ে
ঝরনার ফেনার মতো বার-বার সাদা হয়ে উঠছে যেন
জ্বলন্ত রোদের বুকে বার-বার ভেঙে গিয়ে আবার সৃষ্ট হচ্ছে।

হাঁটছে- হাঁটছে
শরের ডগা কেঁপে উঠছে
এক রাশ দেয়ালি-পোকা উড়ে যাচ্ছে
ফড়িঙের লঘু খেয়াল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বার-বার
অজস্র মশার ঘুম ভেঙে যাচ্ছে
বিন-বিন বিন-বিন ক’রে তারা সাদা চিনি ধূসর ননীর তৈরি
এই সুস্বাদু পাখির মিষ্টি রস খুঁটে নেবে
তার পাখার ছায়ায় ঘাসফড়িঙের ঘাড়ের ফিকে সবুজ রং কালো ক’রে দিচ্ছে
ফড়িঙের চোখের মাংসের গভীর সবুজ রং’কে
একটা সুন্দর লাল ঠ্যাং এগিয়ে এল জলের দিকে
একটা রুপালি মাছ দু’টো ঠোঁটের ভিতর ঢুকে পড়ল
চ’লে গেল জলের কুহক ছেড়ে
ছবির কুহকের ভিতর

হেঁটে চলেছে (আবার)-
সমস্ত শরীর তার জ্বলন্ত রৌদ্রের ঘায়ে এক-এক বার মুছে গিয়ে
পাথরে আছাড় খেয়ে ঝরনার ফেনার মতো সাদা হয়ে উঠছে যেন আবার।