এই মুখ

এই মুখ- জ্যোৎস্নায়- যেন শুধু শব্দহীন প্রক্রিয়ার তরে
গাছের ছায়ার হাত আছে ঢেকে- বিবর্ণ এ-জ্যোৎস্না ছাড়া যেন কিছু ছিল না ক’ এই পৃথিবীতে
অশরীরী স্বাদ সব ফিরে এল,- কোনও কিছু গভীর জিনিতে
চেয়েছিল;- আমার হৃদয়ে ঢের ধূসর পেঁচারা আনে নিস্তব্ধতা
বহু দিন শান্তি পাবে ব’লে তারা বলে না ক’ কেউ কিছু কথা

কাহার শালিখ যেন ইচ্ছাধীন?- শুষ্ক পাতা খড়কুটো চিলের মতন;
নখ আঁচড়ায়ে প্লীহা ছিঁড়ে ফেলে কাঁদে- তবু যেন কার মন
তাহার ব্যথার পরে তরুদের কালো অনুভব দিয়ে এক নিস্তব্ধ প্রসাদ- ফুল গ’ড়ে
ক্যাঙারুর মতো আর লাফাবে না কেউ রূঢ় রৌদ্রের ভিতরে
জানে তাহা সব গাঢ় প্রক্রিয়ার অন্তরালে যেন কোন অবিনাশ রূপ উদ্গীরণ
বৃত্তের মতন ঘুরে জ্যামিতিক বেদনার- তার পর আনে সাদা পাখির গুঞ্জন।