এই নগ্নতাকে

এই নগ্নতাকে কোন অর্থবান জীব এসে আজ
আবার সঙ্গতি দেবে- বিষণ্ন আকাশ
কোথায় রয়েছে আজ পূর্বাপর ছেয়ে
অশ্রুর লুণ্ঠন থেকে মুক্ত হয়ে- তবু
অশ্রু দেবে আমাদের;- অথবা কোথায়
ভাস্কর গড়েছে তার অমল গ্যাজেবো
নিসর্গকে অন্তর্লীন প্রতিদ্বন্দ্বী ভেবে
মানুষকে গোপনীয় বইয়ের মতন
মনে ভেবে- অন্ধকারে অনেক মনীষী
স্তব্ধ হল পৃথিবীতে- যাস্ক থেকে আজ
কনফুশিয়স থেকে এরা ওরা তারা
সময়সূচক এক তিলমন ঘড়ির মতন
ঘুরেছে কালের আয়ু- অনুভব করি
সূর্যের সোনার রঙে বিকেলবেলায়
ক্বচিৎ প্রশান্ত মনে। সমুদ্রের পারে
ঢের আগে কয়েকটি সাগর-শকুন
এবং নারীকে এক দেখে ফেলে আমি
সৃজনের প্যারাডিম পেয়ে গেছি ভেবে উঁচু স্বরে
গভীর হেসেছি ব’লে অন্ধকারে আজ-
অনুকম্পাপরবশ সমুদ্রের পাখি
হয়েছে কাগজ, হাড়, পেপার-কাটার
স্তব্ধ টেবিলের পাশে- বুকের উপরে
যেখানে দক্ষিণ হাত হৃদয়কে খোঁজে
অথবা গভীর যন্ত্র মাথার ভিতরে
কাজ ক’রে নিভে যায়- সেখানে কাগজ
প্রিন্টারের শেষ কালো শয়তান ঝেড়ে
এসেছে নির্মল হয়ে- এখন বর্বর হাসি নেই।