আজ এই পৃথিবীতে

আজ এই পৃথিবীতে সন্ততির তৃপ্তি রয়ে গেছে
এক ঝুড়ি লালশিরা পাখি মেরে ঘরে
ফিরে আসে কেউ তার রাত্রির ভিতরে

পুনরায় ভোর হলে সবুজ ঘুমের থেকে উঠে
চার হাত পায়ে ওঠে নেচে
অরণ্যের দিকে চ’লে গেছে

কেউ-বা ঘন্টার শব্দ শুনে যায় অন্ধকার হলে
যেখানে গাধার কান উঠেছে পাথর হয়ে স্তম্ভের মতন
সেখানে নামের সংকীর্তন
কেশবতী কন্যারা ম’রে গেছে জেনে;
অনেক মুণ্ডিত মাথা বেঁচে আছে ব’লে।

অথবা বিদেশ থেকে নেমে আসে অগণন রিরংসার ঢেউ
সর্বদাই সিলমোহরের ছাপ লেফাপার ‘পরে
দস্তখত রেখে যায় কাগজের ‘পরে
যেন তারা ঢের দিন ম’রে গেছে ব’লে জাদুঘরে
কিউরেটারের শুধু পাহারা-বদল
আর সব চির-দিন স্টেটাস ক্যু

কিংবা কেউ ঘোড়ার উপরে চ’ড়ে মাঝ-রাতে নগরীর পথে
শেষ বার দেখে যায় মানুষের চাল
হয়তো সে নগরকোটাল
গণিকা, শ্যালক, শনি, বিদূষক, চোরের আমেজ
ঘুরে যায় ঘোটকী’র মুখের শপথে।

অথবা সর্বদা সব গণিকার জনকেরা থাকে
জননীরা থাকে
রাজনীতি, অর্থনীতি, সম্পাদনা দিয়ে জামা টাকে
পৃথিবীর দোলনায় নিমন্ত্রিত ভীত শিশুদের।
নেতা, নেত্রী, বিদূষক গড়ে ভাঙে বৈঠকি তামাকে
নিপুণ মাকুর মতো এ-হৃদয় বড়ো দরজির ঘুরপাকে।

পৃথিবীর অন্ধকারে বাঘ আর নিশিপ্রজাপতি
দু’ জনে ঘুমের থেকে জাগে
যে যার বিভিন্ন অনুরাগে
রেশম, লিপির রূপ কীটের আত্মার তরে- পরলোকে গিয়ে
বাঘের আত্মার তরে প্রেতপুরে হরিণী’র জ্যোতি।