এক বার যে-মানুষ

এক বার যে-মানুষ আঁকাবাঁকা রেখা টেনে কাঠের বা সোনার ফলকে
হারাল সময়-স্বাদ- দিবারৌদ্রে অনেক কুকুর সেই নৃমুণ্ডকে বকে
বেলা বেড়ে গেছে ব’লে;- রক্ত ধুলো কলরবে তাদের সময়
দেয়ালে টাঙানো বড়ো ঘড়ির ঘণ্টায় জন্ম লয়
মৃত্যু-মাংস-মৈথুনের সব কাজ দর্পণের মতো আছে তাহাদের নখে

তবুও জেনেছি আমি সময়ের আরও নিরপেক্ষ মান: মৃতদের মণিবন্ধে ঘড়ি
অন্ধকার যুদ্ধক্ষেত্রে;- অথবা পেঁচা’র সুর জ্যামিতিক প্রাসাদের জ্যোৎস্নায় উত্তরশিয়রী
অধিক গভীরতর; বিংশতি শৃঙ্খলাময় কার্যকলাপের সৌম্য স্রোতে
ধ্বনিত হতেছে যেন জনহীন নিরুত্তর চিলেকোঠাদের বায়ু হতে
যদি কোনও বিষয়ীর গলার গহ্বর থেকে উঠে আসে সোনা এক ভরি

যেন এক তুলাদণ্ডে সতর্কতা নষ্ট হবে। কোনও-কোনও ভাবিতের প্রাণে
শিল্পীদের অভিজ্ঞতা কিছু নয়। তবু তারা এই সব নিবিষ্ট চিন্তার অভিজ্ঞানে
অঙ্গুরীয় চিনে নেয়- রূপার জ্যোতির থেকে দুর্নিরীক্ষ্য পৃথক হিরা’র
কালো দস্তানার নিচে যখন সকলই দেখায় কিমাকার
খানিকটা সময়ের অপব্যয় ছাড়া আর, হে কুকুর, কী ক’রে বুঝিব মোরা জীবনের মানে।