এক দ্বীপের বাতাসে

এখানে জলের সাথে মিশে এক দ্বীপের বাতাসে
থাকা যায়- সময়ের ঘড়িটাকে ভুলে
কিংবা এই বন্দরের সমীচীন, শোভন অকূলে
সকলেরই বুকে ঘড়ি প্রিয় হয়ে কাশে
সময়ের জননীকে সর্বদাই নিকট- নিকটতর জেনে
কাজ তার চালাতে হয় না আর দমে-চলা স্প্রিঙটাকে খুঁজে
তুলাদণ্ডে চির-দিন পৃথিবীর পরিমাপ হয়ে গেছে বুঝে
সমস্ত সূর্যের বেলা পায়রা-ধূসর এক সমুদ্রকে স্থলপথে টেনে
ধোঁয়ার ভিতরে, আহা, করতলে-আমলকী-আলো পাওয়া যায়
অই দিকে দু’-চারটা সমুদ্রকাঁকড়া আর তাহাদের ডিম
সম্মুখীন সাগরের অন্তহীন চলিষ্ণু লাটিম
কোলাহলে- নরকের চেয়ে আরও বড়ো ভূমিকায়
খয়েরের মতো কালো ঢের উঁচু মিনারের ভিড়
উত্তেজে দাঁড়ায়ে আছে- মনে হয় এই নিচে অগণন নৃমুণ্ডের মেঘ
অ্যাসিম্পটোট ছুঁলে হত আকাশের মতন আবেগ।
তবু মৃত্যু। আর-এক চুল সত্য অ্যারিস্টটলের জ্যামিতির।