আকাশে যখন রৌদ্র

আকাশে যখন রৌদ্র প’ড়ে আসে- এমন অনেক দিন
আমিও চিলের মতো মেঘ ভেঙে- তবু-
অন্য এক বৃহৎ আগ্রহে ঘুরে- হয়ে গেছি আরও অর্থহীন
তখন আকাশ আর রাখিতে পারে না ধ’রে আমাদের
সমুৎসুকতাকে- নির্জন চুম্বক তার ঘুরায়ে নিয়েছে মুখ
নদী, মাঠ, ছেলেদের খেলা, ঢিল, সাধারণ আনন্দের দিকে
আমার মুকুরে তবু অন্য এক আলাদা মুখের
ছবি জাগে- আমার হৃদয়ে ক্রমে এসে গেছে স্থির (নিরুৎসাহ)
অন্য এক আমোদের অবলেশ হাড়ের হিমের হাওয়া খেয়ে

কোথাও সিন্ধুর মাঝে দ্বীপ আছে হয়তো-বা- ম্লান ঝিঁঝি’দের
শ্রীহীন কাঁটার গাছে- এখানেও তাহাদের ধ্বনি
অধিক অস্পষ্টতর;- কোথাও সিন্ধুর মাঝে দ্বীপ জেগে ওঠে
মৃত জাহাজের সাদা রৌদ্রভীরু কঙ্কালের মতো
এইখানে আমি- তুমি- যারা শূন্যে গ্যাজেবো বানায়
বালুকা ও ফসলের সমান্তরাল দু’টি সরলরেখাকে
স্প্রিঙ ভেবে- আমাদের প্রেম, মাঠ, স্বর্গীয় চাঁদ
এক দিন সেই মৃত দ্বীপ থেকে পেয়ে গেছে আভা, ভয়
ঘনিষ্ঠ বর্ণনা। আজ সেই মৃত দ্বীপ, নীরব সমুদ্র
হাতের তেলোয় আর আসে না ক’ উপমার মতো
মানুষের বুক থেকে সাধারণ আনন্দের মতো
চারি-দিকে শোনা যায় খানিকটা বিমোহিত সুর
হে যোজনাহীন, ভীরু, ওতপ্রোত ভিড়
কে তোমারে ব’লে দেবে- চলুক উৎসাহ তবে
এই প্রাপ্য ভোর থেকে অন্য এক ভোরের ভিতরে
অথবা স্থগিত হয়ে থাকুক তা- চির-দিন
আজ এই বায়ুর প্রেরণাহীন নিরাময় রাত্রির মতন।