এখানে কী কাজ

এখানে কী কাজ চুপে ক’রে যায় অঘ্রানের শেষ দিনগুলো
অঘ্রান- যাহাকে আমি হেমন্তের অবতার ভেবে
ঘুরেছি নির্জন মাঠে- ততোধিক বিকল নগর থেকে নেমে
যেন সে আমায় কোনও জিনিসের স্মরণীয়তাকে এনে দেবে;-
আলোর ফিকিরে ধরা প’ড়ে গিয়ে ক্বচিৎ বটের
নিভে যায় পুনরায় বিবর্ণ পাতায়
যখন নদীর জলে মুখ দেখে নিওলিথ যুগের বনানী
তবুও বনের ফাঁকে সূর্যকে আজকের ব’লে চেনা যায়,
এঞ্জিন শান্টিং ক’রে চ’লে গেলে সূর্য আর বনানীর মাঝে
আমাকে কে ব’লে দেবে নিওলিথ কালের মেশিন
দেখি নি হাজার যুগ আগে এই পৃথিবীর পথে জেগে থেকে?
অথবা নদীর জলে গাছগুলো আধুনিক প্রতিভাবিহীন?
এই সব বিসদৃশতাকে চুপে সাঙ্গ করতে গিয়ে ঘড়ি:
একটি সচ্ছল- লোল- গোলাকার পরিধিকে ঘিরে
তবুও নীরব জলে প’ড়ে আছে বিজড়িত চোখে
সাত জন মৃত তন্বীর হাড় নির্জন শিশিরে
ভিজে গিয়ে- আরও ভিজে যায় ঐ মাঠের নিকটে-
ধোঁয়াটে শরের খেতে প্রতিভাত হলে হয়; বিকেলের আলোয় অঘ্রানে
কী ক’রে অবজ্ঞা করে মানুষের টাকে আজ এক-জোড়া শিং!
কোথায় সময় তার প্রেম নিয়ে রয়ে গেল প্রতিভাত সময়ের মানে।