এখন আমার ঘোড়া নিয়ে যাই

এখন আমার ঘোড়া নিয়ে যাই- আকাশরেখার দিকে ধীরে
পিছনে পৃথিবী- জানি- ন্যূব্জ হয়ে প’ড়ে আছে বাষ্পের তিমিরে
যদি আমি মনে ভাবি কোনও এক উপতারকার মতো তার গতি
সৌর পরিসরে মূল্য বিতরণ করিতেছে- আমাদের অজ্ঞাত যাহা
তা হলে কখনও এই গোধূলির ঘোরে আমি পাব অব্যাহতি?

এইখানে বাঁকা নদী চ’লে গেছে- চেয়ে দেখি- পৃথিবীর দিকে
যদি আমি মনে ভাবি আমারই মতন সে-ও কোনও এক আবিষ্ট প্রতীকে
অভিগামী;- হয়তো-বা প্রতিবিম্ব আমারই আত্মার কামনার
তা হলে ঘোড়া’কে আমি মশা’র কামড়ে ঠেলে ফেলে
ঘুরন্ত বিঘোর মাকু পেয়ে যাব পরিদের দর্জিপাড়া’র

বহু দিন বাস করা হয়ে গেছে ধর্মভীরু সূর্যের নিচে
তার পর- তবু দেখি- বোলতা’র পাখনায় আলোকের প্রতিভা ঘিরেছে
দিঘির তরঙ্গ থেকে উঠে এসে ধৃষ্ট এক মুকুরের মতো
ফেলেছে নিজের আলো- তবুও মেদের ‘পরে ভাস্বর সূর্যই ঠিক-
রাসভের চামড়াকে করেছে জুতায় পরিণত।