এখন বয়স ঢের হয়ে গেছে

এখন বয়স ঢের হয়ে গেছে আলো-অন্ধকারে
অবিরাম পৃথিবীর পাথর কুড়ায়ে
কিংবা ঢের তিরিক্ষের পরিহাসে পেকে
নদীর নিকটে এক ত্রিভঙ্গিম পিপুলের গায়ে
অনর্গল চটপটে কাঠবিড়ালীর
আঁচড়ের মতো সব থেকে যাবে যত দিন
পিপুলের চোখে সূর্য রয়ে গেছে
হৃদয়ে খোঁড়ল অন্তহীন।

খোঁড়লগুলোকে তবু ভালোবাসি আমি
সূর্যের আলোর নিচে আর-এক রকম অন্তঃসার
যখন হৃদয়ে ঢের আত্মপ্রসাদ
স্মরণ করায়ে দেয় কী ক’রে নিষ্ফল চমৎকার
মুর্তি সব গড়েছিল হাড় দিয়ে- হাড় দিয়ে
অগ্নির ছায়ায় ব’সে- ছিপছিপে অনেক ভাস্কর
যেন নর-নারী মাংস প্রেম- কিছু নয়
অবশেষে বেঁচে থাকে হাড়গোড়,- হাড়ল,- পাথর।

এই সব অনুভব নিয়ে তবু তার পর মাথা খাড়া ক’রে
এখন বাতাস খাব সবুজ রঙের এক গোধিকার গরিমায় আমি
অনেক বয়স গেছে নদীর ভিতর দিয়ে ডুবে
মনীষীর শ্বেতসার মোমদের চেয়ে তবু দামি
যে-সময় দর্শনের তত্ত্বগুলো গুহার ভিতরে রেখে দিয়ে
কৃকলাস-শরীরের মতো এসে বাহিরের অগ্নির ভিতরে
দাঁড়ায় সে- লেলিহান আলো স্বর্গ-নরকের থেকে উঠে এসে
তাহার দেহকে গোল চাঁদিনির মতো ঘিরে ধরে।