এখন হলুদ ঠোঁটে

এখন হলুদ ঠোঁটে খয়েরি শালিখ পাখি ফিরে আসে ঘরে
বিজল বাতাবি লেবু অশান্ত মাছির মতো উড়ে গান করে
গাধা’র করুণ দুধ লহনা নদীর পারে হয়ে গেছে কাশ
বেগুন ফুলের মতো নীল ক’রে রেখেছে আকাশ
না-না না-না না-না নি
নারায়ণী নারানি

কখন তোমার সাথে দেখা হয়েছিল এই পৃথিবীর পথে
জলাঙ্গি নদীর পারে- চাটগাঁ’র ফেনিল পর্বতে
তখন শুশুনি শাকে রুপালি বৃষ্টির জল- রৌদ্র এসে পড়ে
ধবল ছাগলগুলো নেচে ওঠে মশার কামড়ে
না-না না-না না-না নি
নারায়ণী নারানি

কাটায়ে দিয়েছি আয়ু নদীর ভিতরে রৌদ্রে এক-জোড়া চাপেলি’র মতো
অথবা ডাইনি এক উঁচু দু’টো গাছ নিয়ে উড়েছে সতত
অবার আকাশপথে- মনে পড়ে আজ
তুমি ছিলে হরিতকী- আমি তিত্তিরাজ
না-না না-না না-না নি
নারায়ণী নারানি

যে-সব জীবন গেছে আমাদের নিড়েনো মেঘের মতো ফেঁসে
আবার দিয়েছে দেখা নিঃশব্দ ছাদের মতো এসে
পেয়ালার ‘পরে শিল্পী এঁকে গেছে সারসী’র পিঠে
চড়েছিল চীনেম্যান- জামার চেয়েও তেলচিটে
না-না না-না না-না নি
নারায়ণী নারানি

অনেক রাজার রৌদ্র পৃথিবীতে কেটে গেছে তবে
একটি মহার্ঘ রানি গোলাপের ভিতরে নীরবে
বাঁচাতে আকুল হয়ে উঠেছিল পৃথিবীর দুপুরবেলাকে
সকলই শিশির তবু হয়ে গেছে কোনও এক ফাঁকে
না-না না-না না-না নি
নারায়ণী নারানি