এখন অনেক কথা সাঙ্গ হলে

এখন অনেক কথা সাঙ্গ হলে- অতএব ভালো
প্রেমিকের মতো কাজ- আমাদের নিজ স্থান থেকে
সকলের সাধারণ দয়ার ভিতরে
সহসা বিস্মিত মুখ তুলে নিয়ে মানুষের মুখের ছায়ায়
সাধারণ হতবাক রীতি দেখে আবার নীরব
হতে হয়। ‘তবুও বেদনা যদি পরিপ্লুত মাঠের মতন
স্তব্ধতাকে পরিচর্যা ক’রে যায় (কুয়াশায়) এই হেমন্তের
প্রবীণ নিয়মে ন’ড়ে’- হলুদ রঙের এক পাখি
ব’লে গেল পিপুলের ডাল থেকে- হৃদয়ের গুহার ভিতরে
আমারও প্রতীক আছে- পাখি নয়- পালকের ওজস্বী হলুদ
পাখির হৃদয়- গান- সেখানে বিষয় শুধু- কুয়াশার থেকে
জেগে ওঠে সুনিবিড় হরিদ্রার অগ্নির মতন
নিভে যায়- আমিও মর্ত্যের পথে ফিরে গিয়ে কৌটিল্য’র মতো
সাধারণ নিরীশ্বর কাজ ক’রে ক্রমে তবু অধিক নির্মল
হতে চাই। গ্রীস, উর, দিল্লি, রোম, বেবিলন, চিন
ভেঙে যায়- গ’ড়ে ওঠে- সমধিক চেতনার অবতার হয়ে
মানুষেরা ফিরে আসে- তুলাদণ্ডে তবুও মেষের ভীরু লোম
বিমূঢ়ের টেরিকাটা মুণ্ড দেখে ডিভিডেন্ড-নিপুণিকা, চুপে
চতুরকে ডেকে নিয়ে সারা-দিন ঘড়ি ধ’রে হাসে
অথবা তাদের ভুল হয়েছিল- কেন-না ‘আমরা মেষ নই’
ব’লে যায় মৃত শতাব্দীর সব বিষণ্ন কঙ্কর থেকে উঠে
জনতার গড্ডলিকা আগামী দিনের দিকে চ’লে।
পরস্পরের গুণে- ভিন্ন-ভিন্ন গুণময় কাজে
উৎসারিত হয়ে ওঠে, প্রেম আর ক্রূর প্রতিভার
দ্বন্দ্বকে প্রশান্ত ক’রে- অবশেষে- মানুষের নিজের নিয়মে।