একটি শতাব্দী আজ

একটি শতাব্দী আজ সমাপ্তি নিতেছে
চারি-দিকে মোটবাহী ক্রীতদাসদের আলোড়ন
হয়তো নতুন এক যুগকে জাগাবে
অথবা বিশ্বস্ত হাতে কাজ ক’রে মুমূর্ষুর পুনরুজ্জীবন
দিয়ে তারা অন্ধ ভাবে সাময়িক স্রোতে মিশে যাবে
সকালের সুস্থ সূর্য যাহাদের সাথী হতে চায়
নীলিমায় যে-সারসদম্পতির গান
আকাশ ও পাখি আছে- এর চেয়ে বেশি কিছু গভীর প্রমাণ
আয়ত্ত না ক’রে আজ পৌঁছুন কানের কিনারায়
অনেক শতাব্দী বেঁচে মানুষের ভাষাপরিভাষাশীল জটিল ক্ষমতা
আহরণ ক’রে গেছে অনেক আলোেক- তবু-
শিখেছে অনেক বেশি- জীবনের সেই সব জ্ঞানময় কথা
ভুলে গেছে- অতীব সুতীক্ষ্ণ হয়ে গেছে তার কান
তবুও সুরের পরিবর্তে শব্দ এসে
তাহাকে ক্ষমতাময় ক’রে গেছে মন্ত্রের সাধনে
কণ্ঠস্থ গ্রন্থের মতো এ-জীবন খেলা ক’রে যায় তার মনে
সূর্য ও সারসের রঙে সাদা আশ্বিনের ভোরে
হয়তো মৃত্যুই সত্য- তবু এই মৃত্যু বা জীবনকে আবিষ্কার ক’রে
যেমন আগ্নেয়গিরি আমোদের নগরীকে বেদনায় লাল ক’রে রাখে
আবার নিবিড় ঘাস এসে তাকে অনায়াসে ঢাকে
স্বকীয় জ্ঞানের সেই ভয়াবহ সরলতা আমি
হারায়ে ফেলেছি আজ।