আমাদের শতাব্দীর পরে আরও দু’-এক শতাব্দী
এমনই অঘোরে কেটে যাবে ব’লে কালো ড্রপসিন
গুটায়ে রেখেছে নিট তিন বার তিন দিক থেকে
সিংহ কর্কট বৃষ কন্যা তুলা মীন
সমস্ত নেপথ্য ঘোরে নিজের নিয়মে
আমরাও নিজের নিয়মে কাজ ক’রে হোই অধিক নিটোল মার্গারিন
এখন স্টেজের ‘পরে অবিকল চুরুটের কুয়াশায়
অত্যধিক সমসাময়িক সব ভিড়
দু’-তিন শতাব্দী গেলে হেমন্তের পরিপ্রেক্ষিতে
হাড়গোড়- কাঁচিকাটা কাগজের মতন শরীর
চেনা যাবে ইহাদের; আজ রাতে ভাড়ু দত্ত মনে হয় যারে
লোকটাকে হতে দাও সময়ের বাক্সে স্থবির
মুখ দেখে হৃদয়কে চেনা দায় যে-কোনও যুগেই
ব’লে দিয়ে লয়েডসের কানে
মঞ্চের উপরে তারা বিরক্ত আত্মার মতো ঘোরে
যে যার স্বতন্ত্র অভিনেতা
‘এই বিম্বিসার, এই কৌটিল্য, সিদ্ধার্থ, বান, প্লেটো, হ্যামলেট-‘
প্লেটোরও সকল দাড়ি উড়ে গেছে শেভিঙ্ সাবানে।