আমার চেয়ারে ব’সে আকাশ, মৃত্তিকা মৃত, জীবিত মানুষ
কলমের মুখে টেনে এনে মনে হয় দরায়ুস
সম্রাটের মতো আমি বসে আছি তবে-
উঁচু, নীচু স্থান থেকে নানাবিধ কথা
বাতাসের আগে তার কানে আসে বলে এক মুখ্য অভিজ্ঞতা
হৃদয়ে ঘনায়ে গেছে বটে- তবু তার
কলম অতীব দীর্ঘ কথা লিখে- দীর্ঘতর গ্রন্থের পেপারকাটার।
সারাদিন উদীচীর, প্রতীচীর, অবাচীর বাতাসকে কাটে
কেবলই মুকুট এঁটে তবুও এখন কান এমন লম্বাটে
হয়ে গেছে ব’লে তার চেয়ারের চারখানা ঠ্যাং
গাভিন গাধার মতো থেকে থেকে নড়ে
কিনা কি র’য়েছে পেটে ভেবে নিয়ে রাতুল রগড়ে।