আমার হৃদয় দিয়ে

আমার হৃদয় দিয়ে জল
স্পর্শ ক’রে- তবুও স্পর্শের স্বাদ ভুলে চ’লে গেলে এক দিন
প্রেমিক আমার স্থান নেবে এই ন্যূব্জ মাটির ঢেউয়ে
জলের মসৃণ পেটে- অগ্নির উজ্জ্বল শাঁসে- সাদা বাতাসের
অদৃশ্য দেহকে তার হৃদয়ে জড়ায়ে নেবে মহিলার মতো
তারা আসে- তাদের পায়ের শব্দ পাই আমি টের
ভোরের আলোয় তারা জীবাণুর আলোড়ন নিয়ে প্রথমত
খেলা করে; আর আমি হেমন্তের আয়ু শেষ ক’রে দিয়ে
শিকারির সূচ খেয়ে নদীর নীলাভ শেষ জলে
রক্তের পেঁয়াজি সুতো টেনে নিয়ে হংসীর মতন কোলাহলে
আবার সূচনালোক ফিরে চাই- আবার প্রথম থেকে হেমন্তের দিন
সেই কবে আদি-হংস আর তার প্রেয়সীও বলেছিল এ-রকম কথা
সেই থেকে বৈতরণী মুমূর্ষুকে দেয় না ক’ কোনও স্বাধীনতা।