আমি

রাতের বাতাস আসে
আকাশের নক্ষত্রগুলো জ্বলন্ত হ’য়ে ওঠে
যেন কাকে ভালোবেসেছিলাম-
তখন মানবসমাজের দিনগুলো ছিলো মিশর-নীলিমার মতো।

তার তৎপর হাত জেগে রয়েছে সৃষ্টির
অনাদি অগ্নিউৎসের প্রথম অনলের কাছে আজো
সমস্ত শরীর আকাশ রাত্রি নক্ষত্র উজ্জ্বল হ’য়ে উঠছে তাই,
আমি টের পাই সেই নগ্ন হাতের গন্ধের
সেই মহানুভব অনিঃশেষ আগুনের
রাতের বাতাসে শিখা-নীলাভ এই মানবহৃদয়ের
সেই অপর মানবীকে।

সমস্ত নীলিমা- সময়- প্রেম কী উদার অনল সংঘর্ষময়ী বাসনা
মহনীয় অগ্নিপরিধির অন্তহীন কারুশিল্প সংগীতে লীন,
সেই নারীর গুঞ্জরণ শুনছি আমি
আমার গানে হৃদয় বিকম্পিত হ’য়ে উঠছে তার,
কোথাও মৃত্যু নেই- বিরহ নেই
প্রেম সেতুর থেকে সেতুলোকে-
চলছে- জ্বলছে দ্যাখো। এলো আলো
গতির গলিতশরীরী আগুনের;
কোথাও প্রয়াসের শেষ নেই- আমি গতিবহ্নি, হে তপতীলোক,
হে অন্ধকার-
হে বিরাট অন্তরীক্ষ অগ্নি।

কবিতা। আষাঢ় ১৩৬৪