আমি হাত প্রসারিত ক’রে দেই

আমি হাত প্রসারিত ক’রে দেই বায়ুর ভিতরে,
অনেক জীবাণু এসে রোমকূপে জমে-
এই এক আলোড়ন র’য়ে গেছে পৃথিবীতে।
মানুষের অন্তরেও এ-রকম;
কোনও এক রমণীকে দেখে প্রীতি,
কোনও জননায়কের অবয়ব দেখে বিস্ময়
কোনও এক প্রেমিকের বুকের উপরে হাত রেখে দিয়ে আশা।
এই সব অনুভব তবু অজ কীলকলিপির ‘পরে ভোরের আলোয়
অতীত রাত্রীর পরিভাষা।

কেননা মানুষ বায়ু, রোমকূপ, জীবাণুর মতো নয়।
ইহাদের সরলতা শিশুর মতন।
মানুষ অনেক দিন পৃথিবীতে বেঁচে থেকে
ক্রমশই হয়ে যায় বিশদ, অতল।

মুকুর যখন ভাঙে হাত থেকে খ’সে
সাধারণ মহিলারই জিনিসের গুনাগার হয়
মায়াবীর মুকুর নিটোল।
সময়ের সাদা ঘড়ি- সময়ের কালো ঘড়ি:
এই সব প্রতীকের মতো সে-ও গোল।
কোনও দিন মৃত্যু নাই মায়াবীর মুকুরের
চির-দিন মৃত্যু আছে গণিকার মুকুরের।

এই সব ইতিহাস-পরম্পরা বুঝে
আমার হৃদয় থেকে বিচূর্ণ কাঁচের খণ্ড খুঁজে
বুঝে গেছি মরণ কী । অথবা জীবন কেন অধিক বিশদ নিয়ন্ত্রণ।
সকল রঙের শিখা এক-সাথে মিলে গিয়ে হয়ে যায় সাদা
একটি জমাট ঢিলে বহুতর বিরোধের বাধা
অনেক আবহ তার বুকের ভিতরে ধ’রে রেখে
মানুষ এ-ব্রহ্মাণ্ডের পরমায়ু নিমীল বাতাসে
আঙুল ঘুরায়ে নিয়ে অগ্নির অক্ষরে ফেলে এঁকে।