আমি জানি

আমি জানি- এক দিন তারা এক কবির শরীর
শরীরের ছায়া তার দেখেছিল সারা-দিন এইখানে ব’সে
কবির মৃত্যুর পর যখন সোনালি চিল ঠোঁট তার ঘ’ষে
জলপাইপল্লবের শ্যাম ছেড়ে টেনে নেবে রৌদ্রের গভীর
টের পাবে: এ-প্রান্তর এক দিন ছিল এক পাখির কবির।

ধানসিড়ি টের পাবে: শীত-রাতে ইস্পাতের মতো তার প্রাণ
নক্ষত্রের ব্যূহ থেকে?- অথবা কবির প্রেম ছুঁয়ে-
এমন গভীর রাতে জোনাকি’র মতো যেন পড়িত সে নুয়ে
সেই কবি; মৃত্তিকার গন্ধ, ঘাস, একরাশ বেতফল, ধান
জলের কিনার ঘেঁষে আজও মৌন, হিম, লাভবান।

অনেক সবুজ তৃণ এক দিন কবি ছিল ব’লে আজও রৌদ্রের ভিতরে
র’য়ে গেছে;- তারা জানে আকাশের অই পারে আকাশের মননের থেকে
অনেক উজ্জ্বল শব্দ জায়া আর প্রেমিকার শালে বুক ঢেকে
এখানে গাছের ডালে- এবং নদীর জলে- আজও খেলা করে
কবি যেন পৃথিবীরে রূপ দিয়ে চ’লে গেছে রৌদ্রের সাগরে।