আমিও তো মশাল ধরেছি

আমিও তো মশাল ধরেছি
কোনও সৈনিকের নয়
সূক্ষ্ম শীর্ণকায় মঠের মতন
নব-নব জন্মের দুর্যোগ- মরণের জন্ম বিম্ব
ভৈরবীর কপালে টিপের মতো
আধেক তা অন্তিম চাঁদের- মেধাবী সূর্যের তবু।

তোমরা ভগ্নাংশ নাও জ্যোৎস্না গোধূলির
স্নিগ্ধ হও- মৃত্যু ভালোবাসো
আমাকে দেখিতে দাও সেই রূপ-
ফুটপাতে কুয়াশার রমণীরা ঘুমাতেছে
শেলফের অন্ধকারে বক্র, ভগ্ন হেঁয়ালির রাশি
নগরীর দিবালাকে- দিকে-দিকে গম্ভীর গিজের মূর্তি
এরা সব ভালোবেসেছিল। তাই গিয়েছে পাথর হয়ে- মৃত্যু হয়ে।

গর্ভিনীর স্মৃতি বিস্মৃতির সাধ
শোণিতের গূঢ়তর সংস্কার তবু-
নব-নব আভা পায় অপ্রেমের কথা ভেবে
কুয়াশার ওই পারে অমোঘ সেতুকে ভালোবাসে
তাই হেমন্তের দেশে ব’সে শোণিতের শব্দ শোনা যায়
পাঁজড়ের সিঁড়ি বেয়ে হৃদয়ের দিকে আবার সে নিষ্কাশিত সমুদ্রের মতো
লক্ষ-লক্ষ মাইল তরঙ্গের পথ দিয়ে অনেক সুঘ্রাণ পাখি উড়ে আসে
আমাদের এই নিচু, ধূম্র মধ্যপথে
তাহাদের কামনার শ্রম- মুহূর্তের ক্ষান্তি চায়
তির্যক ডানা তুলে ভূমধ্য সিন্ধুর দিকে উড়িবার আগে
এইসব ছবি; আশ্চর্য অন্যায় আলো;
জন্মের দুর্যোগ থেকে ঢের দূরে-
পাঁকের হেঁয়ালি, বিপ্লবের মুহূর্তের থেকে- প্রেম থেকে।