আমিও তৃপ্তি পেয়ে গেছি

ক্বচিৎ আমিও তৃপ্তি পেয়ে গেছি- পর্বতের পথে ঘুরে একা
অথবা দূরের থেকে অন্য এক পাহাড়ের শিঙের নীলিমা
সহসা এসেছে দেখে;- যেন সে কোথাও কারু মৃত্যুর পরে
লুপ্ত হয়ে গিয়ে তবু- আবার এসেছে দেখা দিতে
আমাকে জীবিত দেখে- তবু তাকে সর্বদাই অনেক বিশদ
মাইলের পার থেকে দেখা যায়,- সর্বদাই কাছে;
সিন্ধুঘোটকের মতো মুখ তুলে অবহিত হয়ে আছে
যদিও সিন্ধুর শব্দ এইখানে নেই কোনও দিকে
তবুও মুহূর্ত-আগে লুপ্ত হয়ে গেছে, মনে হয়
এক-দুই অনুপল আগে সেই অকৃত্রিম ডাইনোসরদের
পৃথিবী বিলুপ্ত হয়ে আমাদের এক জন দু’ জনার অনুভাবে
রয়ে গেছে; তবুও তাদের সেই বিশৃঙ্খল সময়ের বালুকাঘড়ির
উড়খুড়খুড়ি বালি দু’-চারটে দেবদারু-গাছের কিনারে
উর্ণিল বাতাসে ওড়ে- কবে কোন প্রেম
সংঘটিত হয়েছিল- মৈথুন কেমন ছিল- অথবা মরণ
যখন সকল লুপ্ত ক’রে দেয় সকলের
তখন মৃতেরা কোন জোড় বাঁধে হেমন্তের শটিত বালির
নিচে শুয়ে- তবুও এ-সব প্রশ্নে তাদের অজ্ঞতা
কোনও দিন সমীচীন হয় নাই- মানুষের মনের উপরে
নিজেদের ইতিহাস ফেলে রেখে গেছে তারা
ইতিহাস ফেলে রেখে গেছে তারা ভুলে
মানুষেরা চ’লে গেছে পাহাড়ের পিঙ্গল চাঙরে
নিজেদেরও গালগল্প- বিশেষত পলু ঘোষালের
কবিতা-ও লোকে সব আধাআধি তা-দেওয়া ডিমের মতো শেষ
ক’রে ফেলে- যদি কেউ তুলে নেয় নিতে পারে
না হলে তা নিজেরই তুলনা শুধু- এমন অন্যায় নিস্তব্ধতা।