আমরা দেহের দাম দিতে পারি

আমরা দেহের দাম দিতে পারি
স্বাচ্ছন্দ্যের কাজে আমাদের প্রতিভাকে নিয়োজিত ক’রে
সমীচীন শিক্ষকের মতো তারে অনুনাসিকের সুরে পূর্ণ ক’রে
চিন্তা- ভাব- কাজ- সংস্কার- মননের আন্তরিকতায়
ব্যাপ্ত হয়ে ওঠে আমাদের
তবু লঘু তামাশার মতো মনে হয়: সব কলরব শেষ হলে
নিশীথের ডিনারটেবিল থেকে সব শেষ বিজ্ঞ অতিথিও
যখন চলিয়া গেছে বাহিরের অন্ধকারে
কোনও এক অন্যতর আচ্ছাদন হৃদয়কে ঘিরে ধরে
আমাদের প্রতিক্রিয়া- লাভ- তর্ক- মীমাংসার সমাধান
শীতরাতে কোনও দূর- দূরতম প্রান্তরের পরিত্যক্ত ক্যাম্প ব’লে মনে হয়
যেইখানে একাকী একটি লোক জেগে আছে শুধু:
অতীতের গ্রন্থাগার থেকে ঢের বই এনেছিল: তবুও সে-সব কোনও পরিণাম নয়
নক্ষত্রের আকাশের থেকে কোনও নেব্যুলার মতন আশ্বাস চায় না ক’ প্রাণ
কোনও কাল্পনিক সমুদ্রের থেকে কোনও সুস্বাদু বাতাস মধ্যস্থতা নয়
বাহিরের অন্ধকার থেকে শীতে কেঁপে-কেঁপে তবু
খানিকটা উষ্ণতারে বিকীর্ণ করিবে ভেবে
কোনও এক অবতার নিঃসঙ্গ শয্যার পাশে এসে ব’সে
‘কথা ভেবে শুকাতেছে পৃথিবীর সকল হৃদয়’ বলিল সে
আমারই অন্তর থেকে জন্মেছে সে আজ রাতে
তবু অনাগত অপগত পৃথিবীর সব হৃদয়ের সাথে তার সেতু।