আশ্বাস

পৃথিবী আশ্বাস দিয়ে গিয়েছিল
অথবা হৃদয় এই সান্ত্বনা দিয়েছে:
এত দিন স্তব্ধ হয়ে আছ তুমি
তার পর কথা জানাবার দিন

আজও তবু কর্মহীন উচ্ছন্ন শিল্পীর
ধুলোভরা অন্ধকার ঘরে
সময় যেতেছে কেটে নেগেটিভ
পরিত্যক্ত প্লেটের ভিতরে

অনেক জীবন্ত নারী পুরুষের
হৃদয়ের সমুদ্রকে কঙ্কালের মতো
কালো ক’রে, ব্যঙ্গ ক’রে
নির্জীব রেখেছি ইতস্তত

আমার হৃদয় এই সূর্যালোকহীন
পরগৃহশায়ী, ঋণী, কাচের প্রদেশ
নিগড়িত শত্ৰু, বন্ধু, রমণীরা সব
আড়ি পেতে অন্ধকারে সময়বিশেষ

রক্তাক্ষরে লিখে যায়; ‘তম্বুরার শব্দে তুমি জেগে ওঠ
তম্বুরার শব্দে তুমি জেগে ওঠ’ বলে
অনন্ত সময় গেছে বৈকুণ্ঠের দিকে
অনন্ত সময় গেছে বৈতরণী তরঙ্গের জলে

মাঝখানে ব’সে আছি একাকী, অস্ফুট
অনেক অদ্ভুত জ্ঞান, ইতিহাস, সমাজের জানুর উপর
ছেনালি-উজ্জ্বল এক গণিকার মতো মূঢ়তায়;-
নীলকণ্ঠ প্রণয়ের মাঝপথে ক্যারেরা-পাথর।