আত্মার মৃত্যু হয়ে যায়

এখন আত্মার মৃত্যু হয়ে যায়
এখন চড়ুই-পাখি ঝরে
সময় চেয়েছে ব’লে- নিজেদের অজ্ঞাতসারে-
অপরের অন্ধকার মাটির উপরে
যেই চোখ একটি কীটের মৃত্যু দেখে
যেই কান একটি পিনের নিঃশব্দতা
কী ক’রে ধ্বনিত হয় ক্যাম্পের অন্ধকারে- জানে-
আজ সে নিজের সাথে কথা বলে- আরশির ভিতরের থেকে বলে কথা।
দিবসের আলোকের পরে
মহনীয় এচিঙের মতো
এই সব শান্ত ছবি জেগে ওঠে- সাধু কালিমায়
মানুষের গ্যালারিতে গ্যালারিতে প্রেম চেয়ে- করুণাবশত
অপ্রেম এমন ক’রে তবুও নিজের রূপ ঢাকে
মাথার টাকের ‘পরে এঁটে নিয়ে সুশ্রী পরচুলা
কেন-না যে এক বার মানুষ হয়েছে
যে-কোনও ডিমন এসে তার চোখে দিতে পারে ধূলা
এখন ডিমন চায় আত্মার মরণ
চড়ুই-পাখির মৃত্যু চায়
একটি বজ্রের শব্দ শিশিরের ধ্বনির মতন
ক্যাম্পের নিঃশব্দতায়।