বাহিরের ডাক ছেড়ে

বাহিরের ডাক ছেড়ে এক দিন রাত্রির পাখির মতো ঘরের ভিতর
চ’লে গেছিলাম আমি,- সেই দিন ভালো লেগেছিল শান্তি সান্ত্বনার স্বাদ
তুমি কাছে ছিলে ব’লে;- তাই মনে হয়েছিল মানুষের হৃদয়ের সাধ
যে ভালোবেসেছে তার ভালোবাসা ল’য়ে শুধু একখানা ঘর
বাঁধিয়া রাখিতে চায়;- নির্ভর করিতে চায় হৃদয়ের প্রেমের উপর!
কারণ, তারার মতো স্থির প্রেম,- বালির মতন এই পৃথিবীর বাঁধ
খ’সে পড়ে চারি-দিকে;- প্রেম যে দিয়েছে তারে মনে-মনে করি আশীর্বাদ
আজও আমি,- ভালোবেসে মনে পড়ে কাটায়েছি রাত আর দিন পরস্পর

আমরা দু’জনে;- আজ তুমি চ’লে গেছ- ফ’লে গেছে যে এক ফসল,-
ঝ’রে গেছে;- চারি-দিকে ধোঁয়াধুলো- পৃথিবীর প্রতিহত মানুষের ভিড়,-
আমিও এসেছি আজ তাহাদের মাঝখানে- পূর্ণ ক’রে তাহাদের স্থল;
তবুও আমারে যদি ডেকে নাও পথ থেকে আমি প্রিয়া রব কি বধির!
সারা-রাত ঢেউ তুলে ক্লান্ত হ’য়ে নক্ষত্রেরে ডাকে ওই সমুদ্রের জল,-
দূর আকাশের ‘পর তোমার মতন প্রিয়া তবুও নক্ষত্র থাকে স্থির!