বার-বার ঘুম পায়

বার-বার ঘুম পায়- বার-বার পথ যাই ভুলে
পৃথিবীর পথে এই- চেয়ে দেখি কেউ দোর রাখে নাই খুলে;
হিজল তমালে ঘেরা কোনও এক অন্ধকার ঘর
নেই আর; সারা-দিন ধুলো ধোঁয়া আলো রোদ রক্তের ভিতর
পথ হাঁটা- পথ হাঁটা; সারা-দিন বাজকুড়লের মতো-ক্লান্ত চিলের মতন
পালক-পাখা দগ্ধ ক’রে রোদের আগুনে আলোড়ন।
দুই চোখ অন্ধ ক’রে আর্ত সুরে ঘুরে-ঘুরে ডাকিনীর মতন আকাশে
দেখেছি ধর্মের চিল পাটকিলে হয়ে যায়- বুড়ো হয়- প্রান্তরের ঘাসে
বাদামি পাতার ভিড়ে প’ড়ে থাকে (চোখ বুজে) জীবনের রৌদ্র রক্ত অধীরতা মিথ্যা অন্বেষণ
ছিঁড়ে ফেলে গেছে তারে; তোমাকেও আমাকেও এক দিন ছিঁড়বে এমন
ছেড়ে দাও রাঙা পথ- দুপুরের রৌদ্ররক্তিমতা
সময়ের রুক্ষ হাত ছেড়ে দিয়ে চ’লে এসো- এসো-
শিরীষ পলাশ নিম হিজলের কিনারায়- কিংবা গাংশালিখের চরে
অথবা সন্ধ্যার বুকে- অথবা বাঁশের বন ছবি দেখে যেই শান্ত জলের ভিতরে
যেই জল- অপরাহ্ন মুছে গেলে- আরও শান্ত, আরও স্তব্ধ হয়
জীবনের ক্ষুধা অধীরতা ছেড়ে সেইখানে চ’লে এসো আমার হৃদয়।