বাতাসের শব্দ এসে

বাতাসের শব্দ এসে কিছুক্ষণ হরিতকী গাছের শাখায়
মিথিরিত হয়ে থেমে যায়, তার মৃত্যু হ’ল ব’লে।
এক পা দুই পা ক’রে দুই-চার মাইল
প্রান্তরের সাথে আরও পরিচিত হ’লে
এমনই প্রান্তর থাকে রৌদ্রময়, শব্দবিহীন,
যতক্ষণ অপরাহ্ন বুকের উপরে প’ড়ে থাকে
তার; শালিখ পাখিকে আমি নাম ধ’রে ডাকি;
ছায়া বা অনলোজ্জ্বল পাখিনীকে ডাকে
তবুও সে; মানুষের অন্তঃসার অবহেলা ক’রে
বিহঙ্গের নিয়মে নির্জন।
উনিশশো চল্লিশের কত গ্রাম, নগর গিয়েছে;
সে সবের জনসাধারণ
উনিশশো বেয়াল্লিশ খৃষ্টাব্দের অপরাহ্নে নেই।
উনিশশো অনন্তের ভূখণ্ডে, আকাশ
মাঝে মাঝে অনুভব ক’রে নিতে চাই;
শান্তি নেই; নীললোহিতের প্রতি শেষ অবিশ্বাস
আছে কি না আছে ভেবে চেয়ে দেখি: পাখি, রৌদ্র, ঘাস।