ভোরের আলোয়

ভোরের আলোয় ভূঁই যে-রকম নীলিমার নিচে
প’ড়ে আছে- ফুরিয়ে গেলেও লোহা-লক্করের নাও ছেড়ে দেয়,
অস্বীকার ক’রে নেওয়া মিছে।
এখানে কোথাও কোনও কড়ি-বরগার দাঁত প্রাসাদের হাত
শেয়ালের মতো এসে করে না আঘাত রাত তিনটে নাগাদ
ময়ূরী’র হঠাৎ ছায়া রোদের ভিতরে
সকলেই ময়ূরী’র মানে খুঁজে মরে।

নিজেদের শাখা থেকে উঠে সরু গাছগুলো স্থির মনোভাবে চেয়ে থাকে।
কেবল ধবল কোনও কাকাতুয়া কথা না ব’লে বর্ণালী বোবা হয়ে যায় পাছে
অরণ্যের ভাষা নষ্ট হয়ে গেলে এক ঝাঁক সাদা কাকাতুয়া তাই ক্যানেস্তারা’র শব্দে হাসে
হলুদ বাঘিনি দূরে মোমের আলোর মতো আসে
বড়ো আগুনের মতো উদ্ভাসিত হয়
ভুলেই রয়েছে তবু ধুলোট বনের পরিচয়

বাঘিনির প্রাণে নেই দেখে
মৃত মেঘডুমুরের মতন বনকে ফেলে রেখে
মানুষের প্রমোদ জেগে ওঠে
বাঘিনি’কে প্রামাণিক ক’রে নিল আট-দশ ফুটে
কোমল রক্তের পরে- নিরুত্তর গাছের ছায়ায়
মহিয়সী বাঘিনি’র মতো সূর্য তবুও তো মানুষকে খায়।