যাহারা রাষ্ট্রের কাছে অভিমানী নয়
কিংবা অভ্যাসের দাস;-
যাহাদের চিত্ত যেন হংসী এক
উৎকণ্ঠায় ভ’রে গেছে যখন আকাশ
সহসা ভোরের বেলা
ধীমান আলোর মুখ খুলে গেছে ব’লে
ভিমরুলদের নীল দেহস্তরে
পদ্মরাগ উঠিতেছে জ্ব’লে
আলোকের বেগ কত লক্ষ মাইল
বুঝে ফেলে উচ্ছ্বাসে যখন
হৃদয়ের গাঢ় সাদা প্রতিভূর মতো এক
মনস্বিনী হংসীর মন
যেই সব চিন্তাবীজ কাগজের মতো দাহ্য
আগুনের স্ফুলিঙ্গে কেবল
প্ৰকাশ করিতে আছে তাহাদের পরাজয়
উৎকণ্ঠিত জাফরান জল
যেই সব মানুষেরা অভিমান করে না ক’
রাষ্ট্র আর রৌরবের কাছে
প্রেমিক তৃণের মতো যাহাদের প্রাণে
স্থির অহঙ্কার জেগে আছে
দেবদত্ত- ওসমান- জরাথুস্ট্র
বিংশ শতকের এই দেশে
ঢের দিন কাটায়েছি তাহাদের জীবনের
যৌবন প্রৌঢ়ত্ব ভালোবেসে
তার পর চেয়ে দেখি চারি-দিকে
তারা আজ মৃত- অর্ধমৃত
তাহাদের সন্ততিরা সৌর গ্লানি গিলে তবে
আবার কেন্দ্রিক গর্বে হবে উপনীত
তাহাদের আত্মা যেন হংসীর মতন
কলঙ্কিত সন্ধ্যার প্রাক্কালে
যখন অনন্ত জল উৎকণ্ঠায়
অনেক জৈবিক বস্তু জ্বালে
অনেক ইচ্ছার বীজ- ঢের মৃত কার্যকারণ
হয়তো দাহন তার কোনও দিন হবে না ক’ শেষ
হৃদয়ের গাঢ় সাদা বিম্বের মতো হংসী
আঁধারে? অস্থির ভোরে? অথবা নাই কি সন্নিবেশ?