বহু দিন হেঁটে-হেঁটে

বহু দিন হেঁটে-হেঁটে যেতে হবে-
যেন এই পার থেকে
ও-পারের অ্যাটলান্টিক ডাকে
বীচিবিক্ষোভিত সব গর্জমান জল
হয়ে গেছে পাথর- বন্দর- বাজার- জঙ্গল
তার পর কোনও এক শেষ বেবিলন’এ পৌঁছানো যাবে
সেখানেও ভগ্ন সিংহ’র পাশে কে আর দাঁড়াবে
কোনও এক হোটেলের মাতঙ্গিনি এসে- জানি আমি- বলিবেই
এইখানে খবিশ নিগ্রোর কোনও স্থান নেই- নেই-নেই-
জেভ থেকে খুলে ফেলে নিকেলের ঘড়িটা দিলেই
চায়ের পেয়ালা আর গোপনীয় প্রকোষ্ঠের পর্দা টেনে দেবে
টেবিলে অনেক অর্ধদগ্ধ চুরুটের পিরামিড
দেয়ালে অনেক স্মিত, অপ্রস্তুত, অসম্মত ক্যালেন্ডার
কফি’র পেয়ালা এনে দেবে
এখানে অনেক কাল আমি তো কাটাতে পারি কথা ভেবে-
কথা ভেবে- ভেবে-