বহু দিন স্তব্ধ হয়ে আছি

বহু দিন স্তব্ধ হয়ে আছি আমি
গোল এক টেবিলের কাছে
চারি-দিকে মৃত চিন্তা- কালো হাড়
খড়ি প’ড়ে আছে

কিছুটা বিম্বের মতো বস্তু প’ড়ে আছে
কিছুটা সূর্যের মতো জল
দু’-এক মুহূর্ত আজও তাই
মনে হয় পৃথিবী সচ্ছল

আর-এক রকম প্রজ্ঞা নারীদের
মৃতদের আশ্চর্য অলীক
মনে হত; বুকের উপরে হাত রেখে
নিজেকে সংযত দার্শনিক।

সকলকে দ্বারে ডেকে এনে
সূর্যালোকে কথা বলা যেত
আমার কথার বায়ু পেয়ে সব প্রেত
হয়ে গেছে বিন-ফুল নীলিমার খেত-

এ-রকম অবিকল উদযাপিত হয়ে
আপনাকে মনে হত সাধু, সমীচীন
অকৃত্রিম অঙ্কে আজ ধরা প’ড়ে আমি
অপচয়, রক্ত, মৃত্যু, ঋণ।

রাত্রি আছে- ঘুমাবার লোক নাই
সকলেরই মুখ-পরিচিত
স্বজনেরা লিখে যায়- কথা বলে- কাজ করে
মৃৎপাত্র তবুও চিন্তিত

নদীর গর্ভের নিচে- শুষ্কত
ইতিহাসহীন সব কঙ্কালের ভিড়
ধীরে-ধীরে ঘুরে যায় লালসায়
হৃদয়ের লালসা গভীর

লাটিমের মতো ঘুরে পৃথিবীকে দিয়েছি ঘুরায়ে
সব সম্রাটের সব কালো ক্রীত দাসী
করতালি দিয়ে কেঁদে ধোঁয়া হয়ে যায়
একটি পরিধি ঘিরে তবুও চলিতে ভালোবাসি।