বহু যাত্রা শেষ

বহু যাত্রা শেষ ক’রে অবশেষে এমন দিনের কাছে এসে
থেমে থেকে মনে হয়- হয়তো-বা- এইখানে সৈকতের পরে কালঘড়ি
নিভে আছে- ওখানে প্রাসাদ এক রয়েছে শটিত হয়ে বিকেলের রোদে
সব শেষ দান সাঙ্গ হয়ে গেলে টাহিটি-নারীর হাতে কড়ি
আমি যেন- আমি- তুমি- এইখানে বিকেলের সমুদ্রের পারে
সমস্ত আকাশ ঘুম, অথবা মৃত্যুর বড়ো সম্ভাবনাময়
ছবির বইয়ের দেশে চ’লে গেছে। মনে হয় পৃথিবীতে আগে এক দিন
বালিশের ‘পরে কান রেখে দিয়ে হৃদয়যন্ত্রের পরিচয়
পাওয়া যেত;- মৃত মানুষের নীল মণিবন্ধ থেকে শঠ ঘড়ি
আশ্চর্য ইস্প্রিঙ্ থেকে কথা ব’লে যেত পৃথিবীতে এক-দিন
এখন সকল কথা ঘুমোনো মাঠের ঢেউয়ে ঢিলের মতন
কবেকার কনফুসিয়াস থেকে আজকের আলোড়িত চীন
সেই আদি আরণির দিন থেকে শুরু ক’রে এখন সূর্যের
নির্জন আহ্নিক গতি;- অবিরাম গোল কৌতূহল
তবুও প্রেতের মতো জেগে ওঠে প্রকাণ্ড মেঘের পার থেকে
বড়ো কাঁটা ছোট কাঁটাটিকে স্তব্ধ রেখেছিল মুহূর্ত কেবল।