বৈশালীর আকাশের ভোর

আবার উঠেছে জেগে যেন কোনও বৈশালীর আকাশের ভোর
আজ এই বিংশ শতাব্দীর মেঘে- অই যবখেতের ও-পারে
সমস্ত নীলিমা যেন একটি নারীর মতো আরও এক নীলিমার শিয়রে চামর
নির্জনে বুলাতে আছে- জলবিন্দুশব্দহীন যেন কোনও জাপানের সমুদ্রের ধারে

পরম ভিড়ের মতো কোথাও নাই ক’ কোনও ঘনসাদা মেঘের বিপুল কলরব
এই দিকে- অই দিকে এক-আধ ফোঁটা শুধু গোলাপের আভার মতন
নিস্তব্ধতা;- নদীর গভীরে যেন বালিকার অপরাধহীনতার মতো অনুভব
কোনও কথা ঝরে না ক’- স্তব্ধ হয়ে আছে যেন দাঁড়কাক-পাখিদের মন-

গোলাপি মুহূর্তে এই;- রাতের পেঁচারা সব নিকটের বনের আঁধারে
চ’লে গেছে; গভীর রজনী যেন নিয়ে গেছে তার সব আঁধার বিজ্ঞতা
শহরের কোলাহলে যেইখানে লক্ষ-লক্ষ লোক শুধু ফাইল নাড়ে-চাড়ে
আকাশের জাফরান খেতে ঘুরে জানে না কোকিল সেই বেদনার কথা-

কয়েকটা মৃত মুখ অরুণের গ্যালারিতে ঘুরে-ঘুরে চেয়ে আছে পৃথিবীর পানে
বলে তারা: ঊর্ণনাভ, কেন মিছা মনীষার জাল দিয়ে করিতেছ মৃত্যুর রচনা
কোনও এক নীল হাওয়া ভেসে আসে যেন দূর প্রেতদেশ থেকে প্রিয় চুম্বনের টানে
আমি তারে টের পাই, টের পায় সোনলি আলোক, সাদা বকফুল, শিশিরের কণা।