বড়ো-বড়ো জানালারা অনাবৃত

বড়ো-বড়ো জানালারা অনাবৃত হয়ে আছে পশ্চিমের দিকে
বিকেলের মিরুজিন প্রান্তরের প্রতিবিম্ব থেকে
রৌদ্র পেয়ে। শতাব্দীর ঘুম থেকে জেগে উঠে
মাঠের উপরে ঢিল
হৃদয়ে নিকটবর্তী আকাশকে টের পায় ক্রমে
যেন গোল সূর্য ছাড়া আর সব ঘুমে ঘোর
দুই ধনু দূর থেকে একটি একাকী উঁচু গাছ
পাথরপর্বতহীন সমতল বাদামি মাটিকে
সাধারণ ব্যবহারে হাতে পেয়ে দিয়ে গেছে তবুও প্রবীণ
নির্জন মহিমা এক; কয়েকটি ধূম্র ভেড়াদের সাথে ছায়া ফেলে
প্রান্তরের দীর্ঘতর আয়ুর ছায়ায়

এক ভিড় দেহ চ’লে যায় ক্রমে এই পথ দিয়ে
তাহাদের মুখে চেয়ে মনে হয়- তাহাদের কোটের পকেটে সূর্য, চক্রবাল
প্রত্যুৎসাহ পেয়ে গেছে মাঠের আলোয়
সুন্দর জন্তুর মতো তাই তারা।
পৃথিবীর নদীদের পাশাপাশি যেন এক
অন্যতর নদী;- নেমেছে আবহমান সময়োচিতের জানু থেকে।
জানু থেকে-
তাহাদের কোটের পকেটে সূর্য, প্রেম, ব্যাগ
আমারও একটি লাইন যদি-বা তাদের
কোটের পকেটে ফেলে রাখা যেত;- রাত্রির আগে।