বর্ষবিদায়

পৃথিবীর আলো-অন্ধকারে এই মানবজীবন
এক দিন শুভ পাবে;- হয়তো-বা অতীতেই পেত;
সবাই সবার হ’লে; ক্ষুধা পেলে কেউ
একগাল বাতাস কি খেত!

অনেক মানুষ ভেবে গিয়েছিল স্বপ্নই সফল।
দিন-রাত নক্ষত্র নীলিমা অনুভব
ক’রে তারা নিজেদের মননের দেশ গ’ড়ে তবু
দেখেছিল পৃথিবীর রক্তাক্ত বিপ্লব।

তাই আরও বাস্তবিক হয়ে তারা সমস্তই ঠিক
ক’রে নিতে চেয়েছিল শূন্য, সীমা অনর্থ ও অমেয়তা ভেঙে;
মানুষের জীবনের প্রতিটি দিনের কাজে লেগে
ইতিহাস বিকথিত সমাজে নগরে
জেগেছিল। করাল রাত্রির দিকে, নীহারিকা, নারীদের দিকে
নিজের সৃষ্ট ড্রোম, ক্রেন, প্লেন, কালো আকাশের পানে তাকায়ে জীবন
এই মৃগপিপাসায় তবুও মানুষই হ’তে চায়;-
গভীর রৌদ্রের প্রেমে লোকসাধারণ

সফলতা পেতে গিয়ে সৃষ্টি করে নবীন মৃত্যুর দিন তবু?
-জেনে লোক ক্রমশই জীবনে মহৎ
হ’লেও তো হয়ে যেত;- ইতিহাসবিষমতা আর ইলেকট্রোন-
অন্ধতাকে মেনে তবু মহাসামাজিকভাবে সৎ
হওয়া যেত নীড় আর নিখিলের বঞ্চনার পথে।