বসির

সমস্তটা দুপুর বসিরকে ধান-খেতের ভিতর দেখলাম
সমস্তটা দুপুর ধান-খেতের পাশে আগুনের রঙের ইঁটের ঐ তেতলা বাড়িটার
কঙ্কাল গ’ড়ে উঠছে
(সবই শহর হয়ে যাচ্ছে)
কার বাড়ি? কেন তৈরি হচ্ছে?-
পড়ন্ত বিকেলের রোদে এ-দিককার পাখিদের মনে
কিংবা পাখিদের ও-পারে নদীর এক নৌকার থেকে দূর নৌকায় লুফে-নেওয়া মাঝিদের
শব্দের মতো নীল আকাশের মনে
সে-সব প্রশ্ন নেই
রাতের ঘুমে স্বপ্ন দেখি কলকাতার ট্রাম-কম্প্যানিও এখানে এসেছে
এ-দিনের রৌদ্রে বসিরের বলদ দু’টো পৃথিবীর কোনও চার-পেয়ে জন্তুর খাঁজ-কাটা বিশ্রাম
কোনও দেশের কোনও জন্তুর ও মানুষের পাণ্ডুলিপি এরা
মিউজিয়মের গল্পে অভিজাত ও অমর হতে ভুলে গিয়ে ধীরে-ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে
তবুও মিউজিয়মেরই দেশ- জাদুঘরের একটা নিঃশব্দ দুর্বল কক্ষ
যা আগুনে পুড়ে গেলেও সভ্যতার কোনও ক্ষতি নেই
সভ্যতার সেই দারুণ পিস্টনের
কারণ, এখানে একটা দাঁড়কাকও শঙ্খমালার নাম জানে শুধু- আজও জানে:
গাছে-গাছে কত পাখি ও নীড় ও ডিম: তবুও বৈজ্ঞানিক পোলট্রির দোকান
কেউ খুলতে পারল না আজও।